জৈন ধর্মে পঞ্চযাম বা পঞ্চমহাব্রত কি?

জৈন ধর্মে পঞ্চযাম বা পঞ্চমহাব্রত কি?
জৈন ধর্মে 'পঞ্চমহাব্রত' কি?

জৈন ধর্মে 'পঞ্চমহাব্রত' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

পঞ্চযাম বা পঞ্চমহাব্রত :

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রতিবাদী ধর্মমত হিসাবে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মমতের উদ্ভব ঘটে। জৈনধর্মের অন্যতম প্রচারক ছিলেন মহাবীর। তিনি মোক্ষ বা মুক্তিলাভের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। এবং মুক্তিলাভের পথ হিসাবে পঞ্চযাম বা পঞ্চমহাব্রত-এর কথা প্রচার করেন।

প্রসঙ্গ উল্লেখ্য যে মহাবীর প্রবর্তিত পঞ্চযামকে কোনো নতুন ধর্মমত বলা যায় না। কারণ তিনি তাঁর পূর্ববর্তী তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের চতুর্যাম বা চারটি নীতিকে গ্রহণ করেন এবং তাতে তিনি কিছু নতুন নীতি সংযোজন করেন মাত্র। চতুর্থামে বলা হয়েছে যে —

(i) অহিংসা বা জীব হত্যা না করা। 
(ii) সত্যবাদিতা বা মিথ্যা কথা না বলা। 
(iii) অচৌর্য বা চুরি না করা। 
(iv) অপরিগ্রহ বা বিষয়সম্পত্তি বা কোনো কিছুর প্রতি মায়ায় আবদ্ধ না হওয়া। 
(v) পরবর্তীকালে মহাবীর এই চারটি নীতির সঙ্গে আর একটি নীতি যুক্ত করেন ব্রহ্মচর্য। ব্রহ্মচর্য ব্রত যোগ করার ফলে জৈনধর্মের মূলনীতি হয় পাঁচটি যা পঞ্চযাম বা পঞ্চমহাব্রত নামে পরিচিত।

বস্তুত পার্শ্বনাথের প্রবর্তিত ধর্মমতের সংস্কার করে মহাবীর তাঁকে নতুন জনপ্রিয়তা দেন। এই জনপ্রিয়তার সুবাদে প্রধান আক্ষরিক অর্থে জৈনধর্মের প্রতিষ্ঠাতা না হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনিই এই ধর্মের মূল প্রবক্তা ও প্রচারক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।

আরও জানুন :

2 Comments

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال